Wellcome to National Portal
মেনু নির্বাচন করুন
Main Comtent Skiped

এক নজরে

এক নজরে তথ্যাবলী

লালমনিরহাট জেলার সমাজসেবা অধিদফতরের সমাজসেবা কার্যালয়ের কর্মসূচিসমূহ:

বাংলাদেশে সমাজসেবা কার্যক্রম শুরু হয় ১৯৫৫ সালে। দরিদ্র, ভুমিহীন, এতিম, প্রতিবন্ধী, বয়স্ক, অসহায় ও পশ্চাৎপদ শ্রেণীর নারী ও পুরুষদের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন ও জীবনমান উন্নয়নের জন্য দেশে সমাজসেবা অধিদফতর বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করে আসছে। তন্মধ্যে যে কয়েকটি কর্মসূচী লালমনিরহাট জেলার সমাজসেবা কার্যালয়ে বাস্তবায়িত হচ্ছে তার সংক্ষিপ্ত বর্ণনা দেয়া হলো।

০১। শহর সমাজসেবা কার্যক্রমঃ লালমনিরহাট জেলার শহর সমাজসেবা কার্যালয়ের আওতাধীনে পৌরসভা এলাকায় ১৯৮২ সাল থেকে এ কার্যক্রম বাস্তবায়িত হয়ে আসছে। অত্র এলাকার দরিদ্রদের সংগঠিত করে প্রশিক্ষণ সুদমুক্ত ক্ষুদ্রঋণ ও অন্যান্য সুবিধা প্রদান করে তাদের আর্থ -সামাজিক উন্নয়ন করা হচ্ছে। দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ এর আওতায় আনা হয়  ২২৭ জন।

০২। প্রবেশন ও আফটার কেয়ার সার্ভিসঃ একটি অন্যতম সমাজভিত্তিক অপরাধ সংশোধনমূলক কার্যক্রম কোন ব্যক্তি আইনের দৃষ্টিতে যখন দোষী হয় তখন বিচারের চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত বিচার স্থগিত রেখে কর্তব্যরত প্রবেশন অফিসারকে অপরাধীর সামাজিক ও অর্থনৈতিক অবস্থা অনুসন্ধান করে রির্পোট দিতে বলা হয়। রিপোর্ট যদি প্রবেশন কর্মকর্তা পর্যবেক্ষণ সম্ভব বলে মতামত প্রদান করেন  তাহলে তাকে দন্ড-স্থগিত রেখে প্রবেশন কর্মকর্তার মাধ্যমে সংশোধনের সুযোগ দেয়া হয়। প্রত্যেক উপজেলা/শহর সমাজসেবা কর্মকর্তাগণ প্রবেশন কর্মকর্তার অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করে থাকেন। প্রথমবারের অপরাধী ও লঘু অপরাধে দন্ডিত অথবা বিচারাধীন অপরাধীদের জেলখানায় না রেখে প্রবেশন অফিসারের তত্ত্বাবধানে কেইসওয়ার্ক, সংশোধন, সামাজিকীকরণ ও অন্যান্য আইনগত সহায়তা প্রদানের মাধ্যমে ১৯৬০ সালে দ্য প্রবেশন এন্ড অফেন্ডার্স অডিন্যাস্ন এর আওতায় পারিবারিক ও সামাজিকভাবে পূনর্বাসন করার লক্ষ্যে ৬টি ইউনিটে এ কাযক্রম পরিচালিত হচ্ছে। বর্তমানে শিশু আইন -২০১৩ এ ৫(৩) ধারা মোতাবেক উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তাকে প্রবেশনের ক্ষমতা দেয়া হয়েছে।

০৩। অপরাধী সংশোধন ও পুনর্বাসন সমিতিঃ জেল হাজত কয়েদীদের আত্নকর্মসংস্থান সৃষ্টি করাই এ কার্যক্রমের মূল লক্ষ্য। বর্তমানে  ১টি ট্রেডে প্রশিক্ষণ ( সেলাই) কর্মসুচি চালূ রয়েছে।  প্রশিক্ষণ কর্যক্রম উপকৃতের সংখ্যা ৩৬  জন।

০৪। হাসপাতাল সমাজসেবা কার্যক্রমঃ লালমনিরহাট জেলায় হাসপাতাল সমাজসেবা কার্যক্রম শুর হয় ০৫/০৯/১৯৭৪ ইং তারিখে হাসপাতালে আগত দরিদ্র অসহায় রোগীদের  ভর্তি ও চিকিৎসার ব্যাপারে হাসপাতালের যাবতীয় সুযোগ সুবিধা প্রাপ্তিতে সহায়তা করা হাসপাতালে ভর্তিকৃত রোগীদের (গরীব) জীবন রক্ষাকারী ঔষধ, রক্ত ,প্লাষ্টার, চশমা, লেন্স, প্যাথলজিক্যাল টেষ্ট, মৃত ব্যক্তির সৎকার ইত্যাদি প্রদান এ কার্যক্রমের মূল লক্ষ্য । হাসপাতাল সমাজসেবা কার্যক্রম শুরুর পর হতে ২০২৩-২৪ অর্থ বছর পর্যন্ত ২২৭৮৮ জন রোগীকে চিকিৎসা সহায়তা প্রদান করা হয়েছে।

০৫। সরকারি শিশু পরিবার (বালিকা) : সমাজে অবহেলিত দুঃস্থ, অনাথ, এতিম বাচ্চাদের লালন-পালন, শিক্ষাও প্রশিক্ষণের মাধ্যমে তাদেরকে আদর্শ নাগরিক হিসেবে সমাজে প্রতিষ্ঠিত করাই এ কার্যক্রমের মূল লক্ষ্য। বর্তমানে লালমনিরহাট জেলায় একটি বালিকা সরকারি শিশু পরিবার রয়েছে। আসন সংখ্যা -১৭৫ টি। উপস্থিত নিবাসীর সংখ্যা ৭৫ জন।

০৬। সমন্বিত দৃষ্টি প্রতিবন্ধী শিক্ষা কার্যক্রমঃ এ কার্যক্রমে দুঃস্থ, অনাথ দৃষ্টি প্রতিবন্ধী বাচ্চাদের ব্রেইল পদ্ধতিতে শিক্ষার মাধ্যমে শিক্ষিত করে তাদেরকে আদর্শ নাগরিক হিসেবে সমাজে প্রতিষ্ঠিত  করাই এ কার্যক্রমের মূল লক্ষ্য। আসন সংখ্যা (বালক) ১০টি। বর্তমান নিবার্সী সংখ্যা- ১০ জন।

০৭। প্রতিবন্ধী সেবা ও সাহায্য কেন্দ্র, লালমনিরহাট : এ কার্যক্রমটি লালমনিরহাট জেলায় শূরু হয় ২০১২ সালে। এ কার্যক্রমের মূল উদ্দেশ্য হলো প্রতিবন্ধীদের প্রতিবন্ধকতা দুর করা, প্রতিবন্ধীদের মধ্যে বিনা মূল্যে চলাচল সহায়ক উপকরণ প্রদান করা, প্রতিবন্ধীদের তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ ও সংরক্ষণ করা, কাউন্সিলিং করা, চোখ ও কানের পরীক্ষা করা। কার্যক্রম  শূরুর পর হতে পুরুষ  ৬৮০০ জন মহিলা-৫৯০০ জন সর্বমোট ১২৭০০ জনকে সেবা প্রদান করা হয়।

০৯। বয়স্ক ভাতা কার্যক্রমঃ বয়স্ক নাগরিকদের সামাজিক নিরাপত্তা বিষয়ে সরকার অতিশয় যত্নবান। এ অবস্থায় বার্ধক্য জনিত কারনে দৈহিক পরিশ্রমে অক্ষম ও দুঃস্থ ব্যক্তিদের সাহায্যের লক্ষ্যে সরকার ১৯৯৭-৯৮ অর্থ বছর হতে এ কার্যক্রমটি শুরু করে। এ কার্যক্রমের আওতায় লালমনিরহাট জেলায় ২০২৩-২৪ অর্থ বছর পর্যন্ত -৮০৪9৫ জন বয়স্ক ব্যক্তি প্রতিমাসে ৬০০/- হারে ভাতা পেয়ে আসছেন। এ ভাতা তাদের সামাজিক নিরাপত্তা, মর্যাদা, ক্রয় ক্ষমতা বৃদ্ধি ও দূর্দশা লাঘবে সহায়তা করছে।

১০। বিধবা ও স্বামী নিগৃহীতা মহিলা ভাতা কার্যক্রমঃ বিধবা ও স্বামী নিগৃহীতা মহিলা ভাতা প্রদান কর্মসূচির চালু করা সরকারের একটি যুগোপোযোগী পদক্ষেপ। ১৯৯৯ সাল হতে কার্যক্রমটি শুরু হয়। বর্তমানে এ কার্যক্রমের আওতায় লালমনিরহাট জেলায় ২০২৩-২৪ অর্থ বছর পর্যন্ত ৫৬৬২৭ জন  বিধবা ও স্বামী নিগৃহীতা মহিলা প্রতিমাসে ৫৫০/- টাকা হারে ভাতা পাচ্ছেন। এ ভাতা তাদের অবস্থার উন্নয়নে পথ সুগম করছে।

১১। অসচ্ছল প্রতিবন্ধী ভাতা কাযক্রমঃ বর্তমান সরকার প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের সমঅধিকার ওসমমর্যাদা প্রদানে বদ্ধ পরিকর। অসচ্ছল প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের সমাজের মূল শ্রোতধারায় সম্পৃক্ত করার লক্ষ্যে সদাশয় সরকার ২০০৫-০৬ অর্থ বছর হতে অসচ্ছল প্রতিবন্ধী ভাতা কর্মসূচিটি প্রবর্তন করে। এ কর্মসূচির আওতায় লালমনিরহাট জেলায় ২০২৩-২৪ অর্থ বছর পর্যন্ত ৪২৯৪১ জন অসচ্ছল প্রতিবন্ধী ব্যক্তি ৮৫০/- টাকা করে প্রতিমাসে ভাতা পেয়ে আসছেন।

১২। হিজড়া জনগোষ্টির  জীবনমান শীর্ষক উন্নয়ন কার্যক্রম (বিশেষ/বয়স্ক ভাতা): হিজড়া সম্প্রদায় সকল নাগরিক সুবিধা ভোগের অধিকার সমভাবে প্রাপ্য হলেও তারা পরিবারিক, সামাজিক অর্থনৈতিকভাবে বৈষম্যের শিকার বলে প্রতীয়মান হওয়ায় সরকার সামাজিক নিরাপত্তা কার্যক্রমের আওতায় হিজড়া জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়ন কার্যক্রমটি ২০১৫-১৬ অর্থ বছর হতে শুরু করে। লালমনিরহাট জেলায় এ কার্যক্রমের আওতায় ২০২৩-২৪ অর্থ বছরে সর্বমোট ২২ জন উপকারভোগী প্রতিমাসে-৬০০/-টাকা হারে ভাতা পেয়ে আসছেন।

১৩। অনগ্রসর জনগোষ্টির  জীবনমান শীর্ষক উন্নয়ন কার্যক্রম (বিশেষ/বয়স্ক ভাতা): বেদে ও অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নের জন্য সরকার ২০১৫-১৬  অর্থ বছর  বয়স্ক/বিশেষ ভাতা কর্মসূচিটি চালু করে। তারই ধারাবহিকতায় লালমনিরহাট জেলায় ২০১৭-১৮ অর্থ বছর পযর্ন্ত ১২৬ জন বেদে ও ও অনগ্রসর জনগোষ্ঠী বয়স্ক/বিশেষ ভাতা সুবিধা পাচ্ছেন এবং প্রতিমাসে ৫০০/- টাকা হারে বিতরণ করা হয়েছে এবং  ২০২৩-২৪ অর্থ বছরে সর্বমোট ৩৭৫ জন উপকারভোগী ভাতা পেয়ে আসছেন।

১৪। প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের জন্য শিক্ষা উপবৃত্তি কার্যক্রমঃ দেশের সকল নাগরিকদের শিক্ষা লাভের সুযোগ একটি মেীলিক অধিকার অন্যান্য নাগরিকদের সাথে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের সমান সুযোগ ও অধিকার প্রদানের নিমিত্তে দরিদ্র, সুবিধা বঞ্চিত প্রতিবন্ধী শিশু কিশোরদের শিক্ষা লাভের সহায়তা হিসেবে ও কর্মসূচি প্রবর্তণ করা হয়েছে। এ কাযর্ক্রম শুরু হয় ২০০৭-০৮ অর্থ বছরে। লালমনিরহাট জেলায় ২০২৩-২৪ অর্থ বছর পর্যন্ত উপকৃতের সংখ্যা ২৩১১ জন।

১৫। স্বেচ্ছাসেবী সমাজকল্যাণ সংস্থা নিবন্ধন করণ : ১৯৬১ সালের ভলান্টারী এজেন্সিস রেজিষ্ট্রেশন ও কন্ট্রোল এ্যাক্ট এর অধীনে ৩৬৩টি স্বেচ্ছাসেবী  সংস্থাকে নিবন্ধন করা হয়েছে। এ সংস্থাগুলি এলাকার বিভিন্ন সমাজকল্যাণ মূলক কাজের মাধ্যমে জনগণের প্রশিক্ষণ, শিক্ষা, সচেতনতা বৃদ্ধি, পরিবেশ উন্নয়ন এবং দারিদ্রদের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করছে। নিবন্ধিত এতিমখানার সংখ্যা ১৫ টি ক্যাপিটেশনগ্রান্ড প্রাপ্ত এতিমখানার সংখ্যা ১৫টি।

১৬। দগ্ধ ও প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের পুনর্বাসন কার্যক্রম : দগ্ধ ও প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের পুর্নবাসন কার্যক্রমটি ডিসেম্বর ২০০২ সালে শুরু হয়েছে। এ কার্যক্রমে এসিডদগ্ধ মহিলাদের চিকিৎসা, প্রশিক্ষণ, ঋণ প্রদান ও অন্যান্য কাযক্রমের মাধ্যমে পুনর্বাসন করে তাদের অসহায় দুর্বিসহ জীবনের পরিসমাপ্তি ঘটিয়ে আত্ননির্ভরশীল করা হয়্ । শারীরিক প্রতিবন্ধীদের আত্ননির্ভরশীল এবং উপার্জনক্ষম ব্যক্তি হিসেবে পরিণত করে তাদের পরিবার ও সমাজে সামাজিক মর্যাদা প্রতিষ্ঠার জন্য ঋণ প্রদান করে আর্থ-সমাজিক উন্নয়ন করা হয়। লালমনিরহাট জেলায় বর্তমানে প্রাপ্ত বরাদ্দ-১০৬৭৯১৩৮/-টাকা ১০০৮৯৬৪৮/- টাকা বিনিয়োগ করা হয়েছে। উপকৃতের সংখ্যা ১০০১টি পরিবার।

১৭। দগ্ধ জনিত কারনে ক্ষতিগ্রস্থ দুঃস্থ ব্যক্তিদের চিকিৎসা ও পুনর্বাসনে আর্থিক সহায়তা প্রকল্পঃ এ প্রকল্পটি এপ্রিল ২০০২ সালে শুরু হয়েছে। এ প্রকল্পের মাধ্যমে দগ্ধ জনিত কারনে ক্ষতিগ্রস্থ দুঃস্থ ব্যক্তিদের চিকিৎসা, প্রশিক্ষণ ও অন্যান্য সুবিধা প্রদান করে তাকে শারীরিকভাবে সুস্থ’ করে কর্মক্ষম, উপর্জনশীল দক্ষ মানব সম্পদে পরিণত করে আত্ননির্ভরশীল করা হয়। লালমনিরহাট জেলায় এ পর্যন্ত  ৫০ জন দদ্ধ জনিত ক্ষতিগ্রস্থ মানুষকে আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়েছে।

১৮। ক্যান্সার, কিডনী, লিভার সিরোসিস, স্ট্রোকে প্যারালাইসিস ও জন্মগত হৃদরোগীর আর্থিক সহায়তা কর্মসুচি: দেশে দুঃস্থ অবহেলিত এবং অনগ্রসর জনগনের কল্যাণ ও উন্নয়নের লক্ষ্যে সদাশয় সরকার ২০১১ সালে এ কর্মসুচি চালু হয়। এর ধারাবাহিকতায় ২০২৩-২৪ অর্থ বছরে ৭১০০০০০০/-টাকা বরাদ্দ পাওয়া যায় এবং ৬৪০ জন রোগীকে  আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়।

১৯। চাইল্ড সেনসিটিভ সোস্যাল প্রটেকশন ইন বাংলাদেশ (সিএসপিবি): এ কার্যক্রমের মূল লক্ষ্য ঝুকিপূর্ণ শিশুদের সামাজিক সুরক্ষা নিশ্চিতকরণ, আর্থিক সহায়তা প্রদান, জীবনমান উন্নয়ন মূলক দক্ষতা প্রশিক্ষণ, নেটওয়ারকিং আইনগত সহায়তা , মানসিক আবেগীয় সহায়তা, প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে ঝড়ে পড়া শিশুদের শিক্ষা ব্যবস্থা করা।

২০। আর.এস.এস কার্যক্রম : সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়াধীন সমাজসেবা অধিদফতর পরিচালিত পল্লী সমাজসেবা (আর.এস.এস) কার্যক্রম একটি গুরুত্বপূর্ণ দারিদ্র বিমোচন কর্মসুচি। দেশের পল্লী অঞ্চলে বসবাসরত দারিদ্র্য পীড়িত পশ্চাৎপদ, অবহেলিত, দুঃস্থ ও অসহায় এবং সুবিধা বঞ্চিত সকল শ্রেণীর লক্ষ্যভূক্ত জনগোষ্ঠীর আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন এ কর্মসূচির মূল লক্ষ্য। স্বাধীনতা লাভের পর জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এ দেশের পল্লী অঞ্চলে বসবাসরত সুবিধা বঞ্চিত হতদরিদ্র জনগোষ্ঠীকে স্বনির্ভল ও আত্নপ্রত্যয়ী করার জন্য সর্বপ্রথম ১৯৭৪ সালে তৎকালীন ১৯টি থানায় পল্লী সমাজসেবা (আরএসএস) কার্যক্রম’ চালূ করেন যা প্রান্তিক লক্ষ্যভূক্ত জনগোষ্ঠীর কল্যাণে আজ দেশের সকল উপজেলায় বাস্তবায়িত হচ্ছে। কর্মসূচি সফলভাবে যা বায়ণের দীর্ঘ পথ পরিক্রমার সমাজসেবা অধিদফতর পরিচালিত পল্লী সমাজসেবা (আরএসএস) কার্যক্রমের সুদমুক্ত ক্ষুদ্রঋণ কর্মসূচি দারিদ্র বিমোচন সেক্টরে উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। এ কর্মসূচীতে প্রতিটি স্খীম এর বিপরীতে ৫০,০০০/-টাকা পযর্ন্ত সুদমুক্ত ঋণ প্রদান করা হয়।

২১। পল্লী সমাজসেবা আর এস এস (১১-১২) কার্যক্রমঃ শুরু হতে এ পর্যন্ত প্রাপ্ত বরাদ্দের পরিমাণ ৬০৫০৬৬৯৩১/-টাকা লালমনিরহাট জেলায় বর্তমানে  ৬২১৬১৯৩১/- টাকা বিনিয়োগ করা হয়েছে। উপকৃতের সংখ্যা ১৯৫০টি পরিবার।

২২। পল্লী মাতৃকেন্দ্র আর এমসি কার্যক্রমঃ  পল্লী সমাজসেবা আরএমসি শুরু হতে এ পর্যন্ত প্রাপ্ত বরাদ্দের পরিমাণ-১৮২১৯৬০/- টাকা লালমনিরহাট জেলায় বর্তমানে ১৮২১১৯৬০/- টাকা বিনিয়োগ করা হয়েছে। উপকৃতের সংখ্যা ২২৬৮টি পরিবার।

২৩। চা-শ্রমিকের জীবনমান উন্নয়ন কর্মসূচির আওতায়: এ জেলায় হাতীবান্ধা উপজেলায় ২২০ জন চা-শ্রমিককে মাসিক ৫০০০/-টাকা করে আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়।


২৪। ভিক্ষুক্ষ পুর্ণবাসন কার্যক্রম : এ জেলায়  ভিক্ষুককে বিভিন্ন স্কিমের আওতায় ১৪২৬০০০/-টাকা আর্থিক

      সহায়তা প্রদান করা হয়।


২৫। বাংলাদেশ প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় এ জেলায় কর্মসূচী চলমান রয়েছে।