Wellcome to National Portal
মেনু নির্বাচন করুন
Main Comtent Skiped

এক নজরে

এক নজরে তথ্যাবলী

লালমনিরহাট জেলার সমাজসেবা অধিদফতরের সমাজসেবা কার্যালয়ের কর্মসূচিসমূহ:

বাংলাদেশে সমাজসেবা কাযক্রম শুরু হয় ১৯৫৫ সালে। দরিদ্র, ভুমিহীন, এতিম, প্রতিবন্ধী, বয়স্ক, অসহায় ও পশ্চাৎপদ শ্রেণীর নারী ও পুরুষদের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন ও জীবনমান উন্নয়নের জন্য দেশে সমাজসেবা অধিদফতর বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করে আসছে। তন্মধ্যে যে কয়েকটি কর্মসূচী লালমনিরহাট জেলার সমাজসেবা কার্যালয়ে বাস্তবায়িত হচ্ছে তার সংক্ষিপ্ত বর্ণনা দেয়া হলো।

০১। শহর সমাজসেবা কাযক্রমঃ লালমনিরহাট জেলার শহর সমাজসেবা কার্যালয়ের আওতাধীনে পৌরসভা এলাকায় ১৯৮২ সাল থেকে এ কাযক্রম বাস্তবায়িত হয়ে আসছে। অত্র এলাকার দরিদ্রদের সংগঠিত করে প্রশিক্ষণ মাইক্রো ক্রেডিট ও অন্যান্য সুবিধা প্রদান করে তাদের আর্থ -সামাজিক উন্নয়ন করা হচ্ছে। দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ আওতায় আনা হয়  ১১৮ জন।

০২। প্রবেশন ও আফটার কেয়ার সার্ভিসঃ একটি অন্যতম সমাজভিত্তিক অপরাধ সংশোধনমূলক কাযক্রম কোন ব্যক্তি আইনের দৃষ্টিতে যখন দোষী হয় তখন বিচারের চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত বিচার স্থগিত রেখে কর্তব্যরত প্রবেশন অফিসারকে অপরাধীর সামাজিক ও অর্থনৈতিক অবস্থা অনুসন্ধান করে রির্পোট নেয়া হয়। রিপোর্ট যদি প্রবেশন কর্মকর্তা পযবেক্ষণ সম্ভব বলে মতামত প্রদান করে  তাহলে তাকে দন্ড-গিত রেখে প্রবেশন কর্মকর্তার মাধ্যমে সংশোধনের সুযোগ দেয়া হয়। প্রত্যেক উপজেলা/শহর সমাজসেবা কর্মকর্তাগণ প্রবেশন কর্মকর্তার অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করে থাকেন। প্রথমবারের অপরাধী ও লঘু অপরাধে দন্ডিত অথবা বিচারাধীন অপরাধীদের জেলখানায় না রেখে প্রবেশন অফিসারের তত্ত্বাবধানে কেইসওয়ার্ক, সংশোধন, সামাজিকীকরণ ও অন্যান্য আইনগত সহায়তা প্রদানের মাধ্যমে ১৯৬০ সালে দ্য প্রবেশন এন্ড অফেন্ডার্স অডিন্যাস্ন এর আওতায় পারিবারিক ও সামাজিকভাবে পূনর্বাসন করার লক্ষ্যে ৬টি ইউনিটে এ কাযক্রম পরিচালিত হচ্ছে। বর্তমানে শিশু আইন -২০১৩ এ ৫(৩) ধারা মোতাবেক উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তাকে প্রবেশনের ক্ষমতা দেয়া হয়েছে।

০৩। অপরাধী সংশোধন ও পুনর্বাসন সমিতিঃ জেল হাজত কয়েদীদের আত্নকর্মসংস্থান সৃষ্টি করাই এ কাযক্রমের মূল লক্ষ্য। বর্তমানে  ১টি ট্রেডে প্রশিক্ষণ ( সেলাই) কর্মসুচি চালূ রয়েছে।  প্রশিক্ষণ কর্যক্রম উপকৃতের সংখ্যা ১০  জন।

০৪। হাসপাতাল সমাজসেবা কাযক্রমঃ লালমনিরহাট জেলায় হাসপাতাল সমাজসেবা কযক্রম শুর হয় ০৫/০৯/১৯৭৪ ইং তারিখে হাসপাতালে আগত দরিদ্র অসহায় রোগীদের  ভর্তি ও চিকিৎসার ব্যপারে হাসপাতালের যাবতীয় সুযোগ সুবিধা প্রাপ্তিতে সহায়তা করা হাসপাতালে ভর্তিকৃত রোগীদের (গরীব) জীবন রক্ষাকারী ঔষধ, রক্ত ,প্লাষ্টার, চশমা, লেন্স, প্যাথলজিক্যাল টেষ্ট, মৃত ব্যক্তির সৎকার ইত্যাদি প্রদানে এ কাযক্রমের মূল লক্ষ্য । হাসপাতাল সমাজসেবা কাযক্রম শুরুর পরহতে ২০২২-২৩ অর্থ বছরে ৩২০০ জন রোগীকে চিকিৎসা সহায়তা প্রদান করা হয়েছে।

০৫। সরকারি শিশু পরিবার (বালিকা) : সমাজে অবহেলিত দুঃস্থ, অনাথ, এতিম বাচ্চাদের লালন-পালন, শিক্ষাও প্রশিক্ষণের মাধ্যমে তাদেরকে আদর্শ নাগরিক হিসেনে সমাজে প্রতিষ্ঠিত করাই এ কাযক্রমের মূল লক্ষ্য। বর্তমানে লালমনিরহাট জেলায় একটি বালিকা সরকারি শিশু পরিবার রয়েছে। আসন সংখ্যা -১৭৫ টি। উপস্থিত নিবাসীর সংখ্যা ৯৯ জন।

০৬। সমন্বিত দৃষ্টি প্রতিবন্ধী শিক্ষা কাযক্রমঃ এ কযক্রমে দুঃস্থ, অনাথ দৃষ্টি প্রতিবন্ধী বাচ্চাদের ব্রেইল পদ্বতিতে শিক্ষার মাধ্যমে শিক্ষিত করে তাদেরকে আদর্শ নাগরিক হিসেবে সমাজে প্রতিষ্ঠিত  করাই এ কাযক্রমের মূল লক্ষ্য। আসন সংখ্যা (বালক) ১০টি। বর্তমান নিবার্সী সংখ্যা- ১০ জন।

০৭। প্রতিবন্ধী সেবা ও সাহায্য কেন্দ্র, লালমনিরহাট : এ কাযক্রমটি লালমনিরহাট জেলায় শূরু হয় ২০১২ সালে। এ কাযক্রমের মূল উদ্দেশ্য হলো প্রতিবন্ধীদের প্রতিবন্ধকতা দুর করা, প্রতিবন্ধীদের মধ্যে বিনা মূল্যে চলাচল সহায়ক উপকরণ প্রদান করা, প্রতিবন্ধীদের তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ ও সংরক্ষণ করা, কাউন্সিলিং করা, চোখ ও কানের পরীক্ষা করা। কাযক্রম  শূরুর পর হতে পুরুষ  ৬৭০০ জন মহিলা-৫৮০০ জন সর্বমোট ১২৫০০জনকে সেবা প্রদান করা হয়।

 

০৯। বয়স্ক ভাতা কাযক্রমঃ বয়স্ক নাগরিকদের সামাজিক নিরাপত্তা বিষয়ে সরকার অতিশয় যত্নবান। এ অবস্থায় বার্ধক্য জনিত কারনে দৈহিক পরিশ্রমে অক্ষম ও দুঃস্থ ব্যক্তিদের সাহায্যের লক্ষ্যে সরকার ১৯৯৭-৯৮ অর্থ বছর হতে এ কাযক্রমটি শুরু করে। এ কাযক্রমের আওতায় লালমনিরহাট জেলায় ২০২২-২৩ অর্থ বছর পযর্ন্ত -৭৩০৫৪ জন বয়স্ক ব্যক্তি প্রতিমাসে ৫০০/- হারে ভাতা পেয়ে আসছেন। এ ভাতা তাদের সামাজিক নিরাপত্তা মর্যাদা, ক্রয় ক্ষমতা বৃদ্ধি ও দূর্দশা লাঘবে সহায়তা করছে।

১০। বিধবা ও স্বামী নিগৃহীতা মহিলা ভাতা কাযক্রমঃ বিধবা ও স্বামী নিগৃহীতা মহিলা ভাতা প্রদান কর্মসূচির চালু করা সরকারের একটি যুগোপোযোগী পদক্ষেপ। ১৯৯৯ সাল হতে কাযক্রমটি শুরু হয়। বর্তমানে এ কাযক্রমের আওতায় লালমনিরহাট জেলায় ২০২২-২৩ অর্থ বছর পযর্ন্ত ৪৬৮৬৬ জন  বিধবা ও স্বামী নিগৃহীতা মহিলা প্রতিমাসে ৫০০/- টাকা হারে ভাতা পাচ্ছেন। এ ভাতা তাদের অবস্থার উন্নয়নে পথ সুগম করছে।

১১। অসচ্ছল প্রতিবন্ধী ভাতা কাযক্রমঃ বর্তমান সরকার প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের সমঅধিকার ওসমমর্যাদা প্রদানে বদ্ধ পরিকর। অসচ্ছল প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের সমাজের মূল শ্রোতধারায় সম্পুক্ত করার লক্ষ্যে সদাশয় সরকার ২০০৫-০৬ অর্থ বছর হতে অসচ্ছল প্রতিবন্ধী ভাতা কর্মসূচিটি প্রবর্তন করে। এ কর্মসূচির আওতায় লালমনিরহাট জেলায় ২০২২-২৩ অর্থ বছর পযর্ন্ত ৩১০৫৭ জন অসচ্ছল প্রতিবন্ধী ব্যক্তি ৮৫০/- টাকা করে প্রতিমাসে ভাতা পেয়ে আসছেন।

১২। হিজড়া জনগোষ্টির  জীবনমান শীর্ষক উন্নয়ন কাযক্রম (বিশেষ/বয়স্ক ভা): হিজড়া সম্প্রদায় সকল নাগরিক সুবিধা ভোগের অধিকার সমভাবে প্রাপ্য হলেও তারা পরিবারিক, সামাজিক অর্থনৈতিকভাবে বৈষম্যের শিকার বলে প্রতীয়মান হওয়ায় সরকার সামাজিক নিরাপত্তা কাযক্রমের আওতায় হিজড়া জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়ন কাযক্রমটি ২০১৫-১৬ অর্থ বছর হতে শুরু করে। লালমনিরহাট জেলায় এ কাযক্রমের আওতায় ২০২২-২৩ অর্থ বছরে সর্বমোট ১০ জন উপকারভোগী ভাতা পেয়ে আসছেন।

১৩। অনগ্রসর জনগোষ্টির  জীবনমান শীর্ষক উন্নয়ন কাযক্রম (বিশেষ/বয়স্ক ভাতা): বেদে ও অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নের জন্য সরকার ২০১৫-১৬  অর্থ বছর  বয়স্ক/বিশেষ ভাতা কর্মসূচিটি চালু করে। তারই ধারাবহিকতায় লালমনিরহাট জেলায় ২০১৭-১৮ অর্থ বছর পযর্ন্ত ১২৬ জন বেদে ও ও অনগ্রসর জনগোষ্ঠী বয়স্ক/বিশেষ ভাতা সুবিধা পাচ্ছেন এবং প্রতিমাসে ৫০০/- টাকা হারে বিতরণ করা হয়েছে এবং  ২০২২-২৩ অর্থ বছরে সর্বমোট ৩৭৫ জন উপকারভোগী ভাতা পেয়ে আসছেন।

১৪। প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের জন্য শিক্ষা উপবৃত্তি কাযক্রমঃ দেশের সকল নাগরিকদের শিক্ষা লাভের সুযোগ একটি মেীলিক অধিকার অন্যান্য নাগরিকদের সাথে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের সমান সুযোগ ও অধিকার প্রদানের নিমিত্তে দরিদ্র, সুবিধা বঞ্চিত প্রতিবন্ধী শিশু কিশোরদের শিক্ষা লাভের সহায়তা হিসেবে ও কর্মসূচি প্রবর্তণ করা হয়েছে। এ কাযক্রম শুরু হয় ২০০৭-০৮ অর্থ বছরে। লালমনিরহাট জেলায় ২০২২-২৩ অর্থ বছর পযর্ন্ত উপকৃতের সংখ্যা ২১১৫ জন।

১৫। স্বেচ্ছাসেবী সমাজকল্যাণ সংস্থা নিবন্ধন করণ : ১৯৬১ সালের ভলান্টারী এজেন্সিস রেজিষ্ট্রেশন ও কন্ট্রোল এ্যাক্ট এর অধীনে ৩৬৩টি স্বেচ্ছাসেবী  সংস্থাকে নিবন্ধন করা হয়েছে। এ সংস্থাগুলি এলাকার বিভিন্ন সমাজকল্যাণ মূলক কাজের মাধ্যমে জনগনের প্রশিক্ষণ, শিক্ষা, সচেতনতা বৃদ্ধি, পরিবেশ উন্নয়ন এবং দারিদ্রদের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করছে। নিবন্ধিত এতিমখানার সংখ্যা ১২ টি ক্যাপিটেশনগ্রান্ড প্রাপ্ত এতিমখানার সংখ্যা ১২টি।

১৬। দগ্ধ ও প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের পুনর্বাসন কাযক্রম : দগ্ধ ও প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের পুর্নবাসন কাযক্রমটি ডিসেম্বর ২০০২ সালে শুরু হয়েছে। এ কাযক্রমে এসিডদগ্ধ মহিলাদের চিকিৎসা, প্রশিক্ষণ, ঋণ প্রদান ও অন্যান্য কাযক্রমের মাধ্যমে পুনর্বাসন করে তাদের অসহায় দুর্বিসহ জীবনের পরিসমাপ্তি ঘটিয়ে আত্ননির্ভরশীল করা হয়্ । শারীরিক প্রতিবন্ধীদের আত্ননির্ভরশীল এবং উপার্জনক্ষম ব্যক্তি হিসেবে পরিণত করে তাদের পরিবার ও সমাজে সামাজিক মর্যাদা প্রতিষ্ঠার জন্য ঋণ প্রদান করে আর্থ-সমাজিক উন্নয়ন করা হয়। লালমনিরহাট জেলায় বর্তমানে ৯৮১৭৬০২/- টাকা বিনিয়োগ করা হয়েছে। উপকৃতের সংখ্যা ৯৯৮টি পরিবার।

 

১৭। দগ্ধ জনিত কারনে ক্ষতিগ্রস্থ দুঃস্থ ব্যক্তিদের চিকিৎসা ও পুনর্বাসনে আর্থিক সহায়তা প্রকল্পঃ এ প্রকল্পটি এপ্রিল ২০০২ সালে শুরু হয়েছে। এ প্রকল্পের মাধ্যমে দগ্ধ জনিত কারনে ক্ষতিগ্রস্থ দুঃস্থ ব্যক্তিদের চিকিৎসা, প্রশিক্ষণ ও অন্যান্য সুবিধা প্রদান করে তাকে শারীরিকভাবে সুস্থ’ করে কর্মক্ষম, উপর্জনশীল দক্ষ মানব সম্পদে পরিণত করে আত্ননির্ভরশীল করা হয়। লালমনিরহাট জেলায় এ পযর্ন্ত ২৯ জন দদ্ধ জনিত ক্ষতিগ্রস্থ মানুষকে আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়েছে।

১৮। ক্যান্সার, কিডনী, লিভার সিরোসিস, স্ট্রোকে প্যারালাইসিস ও জন্মগত হৃদরোগীর আর্থিক সহায়তা কর্মসুচি: দেশে দুঃস্থ অবহেলিত এবং অনগ্রসর জনগনের কল্যাণ ও উন্নয়নের লক্ষ্যে সদাশয় সরকার ২০১১ সালে এ কর্মসুচি চালু হয়। এর ধারাবাহিকতায় ২০২২-২৩ অর্থ বছরে ৭৫০০০০০ টাকা বরাদ্দ পাওয়া যায় এবং ১৫০ জন রোগীকে  আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়।

১৯। চাইল্ড সেনসিটিভ সোস্যাল প্রটেকশন ইন বাংলাদেশ (সিএসপিবি): এ কাযক্রমের মূল লক্ষ্য ঝুকিপূর্ণ শিশুদের সামাজিক সুরক্ষা নিশ্চিতকরণ, আর্থিক সহায়তা প্রদান, জীবনমান উন্নয়ন মূলক দক্ষতা প্রশিক্ষণ, নেটওয়ারকিং আইনগত সহায়তা , মানসিক আবেগীয় সহায়তা, প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে ঝড়ে পড়া শিশুদের শিক্ষা ব্যবস্থা করা।

২০। আর.এস.এস কাযক্রাম : সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়াধীন সমাজসেবা অধিদফতর পরিচালিত পল্লী সমাজসেবা (আর.এস.এস) কাযক্রম একটি গুরুত্বপূর্ণ দারিদ্র বিমোচন কর্মসুচি। দেশের পল্লী অঞ্চলে বসবাসরত দারিদ্র্য পীড়িত পম্ছাৎপদ, অবহেীলত, দুঃস্থ ও অসহায় এবং সুবিধা বঞ্চিত সকল শ্রেণীর লক্ষ্যভূক্ত জনগোষ্ঠীর আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন এ কর্মসূচির মূল লক্ষ্য। স্বাধীনতা লাভের পর জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এ দেশের পল্লী অঞ্চলে বসবাসরত সুবিধা বঞ্চিত হতদরিদ্র জনগোষ্ঠীকে স্বনির্ভল ও আত্নপ্রত্যয়ী করার জন্য সর্বপ্রথম ১৯৭৪ সালে তৎকালীন ১৯টি থানায় পল্লী সমাজসেবা (আরএসএস) কাযক্রম’ চালূ করেন যা প্রান্তিক লক্ষ্যভূক্ত জনগোষ্ঠীর কল্যাণে আজ দেশের সকল উপজেলায় বাস্তবায়িত হচ্ছে। কর্মসূচি সফলভাবে যা বায়ণের দীর্ঘ পথ পরিক্রমার সমাজসেবা অধিদফতর পরিচালিত পল্লী সমাজসেবা (আরএসএস) কাযক্রমের সুদমুক্ত ক্ষুদ্রঋণ কর্মসূচি দারিদ্র বিমোচন সেক্টরে উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। এ কর্মসূচীতে প্রতিটি স্খীমে বিপরীতে ৫,০০০/- (পাঁচ হাজার) টাকা হতে ৩০,০০০/-টাকা পযর্ন্ত সুদমুক্ত ঋণ প্রদান করা হয়।

২১। চা-শ্রমিকের জীবনমান উন্নয়ন কর্মসূচির আওতায় এ জেলায় হাতীবান্ধা উপজেলায় ২২০ জন চা-শ্রমিককে মাসিক ৫০০০/-

     টাকা করে আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়।

     

 

২২। ভিক্ষুক্ষ পুর্ণবাসন কাযক্রমের আওতায় এ জেলায় ১০৫ জন ভিক্ষুককে বিভিন্ন স্কিমের আওতায় ৬৮,৯৪,৩৫০/-টাকা

       আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়।

        

 

২৩। বাংলাদেশ প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় এ জেলায় কর্মসূচী চলমান রয়েছে।